কলকাতার বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় নায়িকার রহস্যজনক মৃত্যু !

কলকাতার বাংলা টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় মুখ ‘তুমি আসবে বলে’ সিরিয়ালের অভিনেত্রী দিশা গাঙ্গুলি আত্মহত্যা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২৩ বছরের এই অভিনেত্রীর ঝুলন্ত লাশ। অস্বাভাবিক এই মৃত্যুর কিনারা হওয়ার আগেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তার এক অভিনেত্রী বান্ধবীর আত্মহত্যার চেষ্টায়। তরুণীর পরিবার জানিয়েছে, দিশার সঙ্গে তাদের মেয়ের গভীর বন্ধুত্ব ছিল। দুজনে একই সিরিয়ালে অভিনয় করতেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বান্ধবীর মৃত্যুতেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই তরুণী। তবে পুলিশের একটি অংশের মতে, সম্পর্কের জটিলতার কারণেই এই মৃত্যু।
‘বউ কথা কও’ সিরিয়ালে নায়িকার বান্ধবীর ভূমিকায় অভিনয় করে দিশা প্রথম পরিচিতি পান। এরপর ‘কনকাঞ্জলি’, ‘মৌচাক’, ‘অদ্বিতীয়া’র মতো জনপ্রিয় সিরিয়ালেও কাজ করেছেন তিনি। বর্তমানে দিশা ‘তুমি আসবে বলে’ সিরিয়ালে অবসাদগ্রস্ত পুত্রবধূর ভূমিকায় অভিনয় করছিলেন। জানা গেছে, বেহালার পর্ণশ্রী এলাকায় নিজের ফ্ল্যাটে  থাকতেন দিশা। তার সঙ্গে প্রায় নিয়মিতই থাকত তার বান্ধবীও। দিশার অভিভাবকরা অবশ্য এটা পছন্দ করতেন না। দিশার বাবা-মা থাকেন আফ্রিকায়। তবে বৃহস্পতিবার দিশার লাশ উদ্ধার করেন তারই এক বন্ধু। তিনিই প্রথম থানায় খবর দেন। এ বন্ধুটির সঙ্গে দিশার বিয়ে দিতে আগ্রহী হয়েছিলেন তার বাবা।
ওই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বুধবার রাতে ইডেনে তার সঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলা দেখতে গিয়েছিলেন দিশা। খেলা শেষে ওই বন্ধুর বেলেঘাটার বাড়িতে গিয়ে রাতের খাওয়া সারেন। এরপর ওই বন্ধুই দিশাকে তার পর্ণশ্রীর ফ্ল্যাটে পৌঁছে দেন। গভীর রাত পর্যন্ত দুজনের কথাও হয়েছিল। পুলিশ জানায়, ওই যুবক সকালে ফের দিশাকে ফোন করেন। কিন্তু দিশা ফোন না তোলায় সন্দেহ হয় তার। এরপরই তিনি দিশার ফ্ল্যাটে যান। তিনিই পুলিশকে জানিয়েছেন, দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও ঘরের ভিতর থেকে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। তখনই তার নজরে পড়ে ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলছে দিশার লাশ।
লাশ উদ্ধারের পর দিশাকে স্থানীয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দিশার মা-বাবাকে খবর দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দিশার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তার ঘরে কোন সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়নি।
Previous
Next Post »