ভারতের
পর্যটন
রাজ্য গোয়ায় বিখ্যাত ফ্যাশন হাউজ ফ্যাবইন্ডিয়ার ট্রায়াল রুমের গোপন ক্যামেরায়
দেশটির কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির পোশাক পাল্টানোর
দৃশ্য ধারণ করার ঘটনায় দোকানের চার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে দোকানটি সাময়িকভাবে বন্ধও করে
দেয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ফ্যাবইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গ্রেফতার হওয়া চার কর্মীর ব্যাপারে তদন্ত চলছে। এছাড়া গোপন ক্যামেরা ও এতে ধারণকৃত আপত্তিকর ছবি পুলিশ জব্দ করেছে।
কালাঙ্গুটের ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এমএলএ মাইকেল লোবো মানবসম্পদ
উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির পক্ষ থেকে কালাঙ্গুট পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। গোয়ার পুলিশ সুপার (উত্তর) উমেশ গায়োঙ্কর বলেন, ‘মন্ত্রীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। আর এক মহিলা যিনি মন্ত্রীর আগে ওই ট্রায়াল রুমে ঢুকেছিলেন তারও জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।’ গোয়ার বিপণিগুলোর প্রতিটি ট্রায়াল রুম যাতে এবার খতিয়ে দেখা হয়, সেই মর্মে থানাগুলিকে নির্দেশ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিজেপি’র কর্মসমিতির বৈঠক উপলক্ষে বেঙ্গালুরুতে উপস্থিত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীকান্ত পারসেকার বলেন, ‘এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ আপাতত দোকানটি সিল করা হয়েছে। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৫৪সি (লুকিয়ে দেখে আনন্দ পাওয়া) ও ৫০৯ (গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ) ধারায় মামলাও রুজু করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে পর্যটন রাজ্য উত্তর গোয়ার কালাঙ্গুট শহরে ফ্যাবইন্ডিয়া নামের
একটি দোকানে পোশাক কিনতে যান ভারতের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে দুই দিনের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। স্মৃতি ইরানি কয়েকটি পোশাক বেছে নিয়ে ট্রায়াল রুমে ঢোকেন। এরপর তার নজরে পড়ে লুকানো ক্যামেরাটি। এরপর তিনি দ্রুত বের হয়ে এসে স্বামীকে ঘটনাটি জানান। স্বামী জুবিন ইরানি প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে দোকানের কর্মীদের ওপর চড়াও হন। পরে জুবিন তাদেরকে ভিডিওচিত্র দেখাতে বাধ্য করেন। এতে দেখা যায়, সত্যি সত্যিই মন্ত্রীর পোশাক পাল্টানোর দৃশ্য ধারণ করা হচ্ছিল!
ফ্যাবইন্ডিয়ার ট্রায়াল রুমের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, সেটি এমনভাবে বসানো, যাতে করে যিনি পোশাক বদলাচ্ছেন তার পেছন দেখা যায়। একই সঙ্গে আয়নায় তার প্রতিচ্ছবিও ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
বিজেপি নেতা লোবো বলেন, এটি খুব নিন্দনীয়। এভাবে একজন ব্যক্তির গোপনীয়তাকে নষ্ট করা হয়। ফ্যাবইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক উইলিয়াম বিসসেল জানান, শুধু নিরাপত্তার খাতিরেই প্রথা মেনে তাদের প্রতিটি দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়ে থাকে এবং এ পর্যন্ত ফ্যাব ইন্ডিয়ার কোনও কর্মীই বিষয়টি নিয়ে কোনও ‘অনভিপ্রেত আচরণ’ করেননি। ফ্যাব ইন্ডিয়ার এক কর্মী বলেন, ‘অনেকেই চারটি পোশাক নিয়ে ট্রায়াল রুমে ঢোকেন। বেরিয়ে আসেন তিনটি নিয়ে। একটি নিজেদের জামার ভিতর লুকিয়ে নিয়ে বেরিয়ে যান। গত সপ্তাহেও এমন এক রুশ পর্যটককে আমরা ধরেছি।’ তাঁর যুক্তি, কোনও পোশাক এমনভাবে গায়েব হয়ে গেলে তার দাম কর্মীদের বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয়। সে সব রুখতেই ক্যামেরাটি বসানো হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ফ্যাবইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গ্রেফতার হওয়া চার কর্মীর ব্যাপারে তদন্ত চলছে। এছাড়া গোপন ক্যামেরা ও এতে ধারণকৃত আপত্তিকর ছবি পুলিশ জব্দ করেছে।
কালাঙ্গুটের ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এমএলএ মাইকেল লোবো মানবসম্পদ
উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির পক্ষ থেকে কালাঙ্গুট পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। গোয়ার পুলিশ সুপার (উত্তর) উমেশ গায়োঙ্কর বলেন, ‘মন্ত্রীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। আর এক মহিলা যিনি মন্ত্রীর আগে ওই ট্রায়াল রুমে ঢুকেছিলেন তারও জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।’ গোয়ার বিপণিগুলোর প্রতিটি ট্রায়াল রুম যাতে এবার খতিয়ে দেখা হয়, সেই মর্মে থানাগুলিকে নির্দেশ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিজেপি’র কর্মসমিতির বৈঠক উপলক্ষে বেঙ্গালুরুতে উপস্থিত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীকান্ত পারসেকার বলেন, ‘এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ আপাতত দোকানটি সিল করা হয়েছে। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৫৪সি (লুকিয়ে দেখে আনন্দ পাওয়া) ও ৫০৯ (গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ) ধারায় মামলাও রুজু করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে পর্যটন রাজ্য উত্তর গোয়ার কালাঙ্গুট শহরে ফ্যাবইন্ডিয়া নামের
একটি দোকানে পোশাক কিনতে যান ভারতের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে দুই দিনের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। স্মৃতি ইরানি কয়েকটি পোশাক বেছে নিয়ে ট্রায়াল রুমে ঢোকেন। এরপর তার নজরে পড়ে লুকানো ক্যামেরাটি। এরপর তিনি দ্রুত বের হয়ে এসে স্বামীকে ঘটনাটি জানান। স্বামী জুবিন ইরানি প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে দোকানের কর্মীদের ওপর চড়াও হন। পরে জুবিন তাদেরকে ভিডিওচিত্র দেখাতে বাধ্য করেন। এতে দেখা যায়, সত্যি সত্যিই মন্ত্রীর পোশাক পাল্টানোর দৃশ্য ধারণ করা হচ্ছিল!
ফ্যাবইন্ডিয়ার ট্রায়াল রুমের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, সেটি এমনভাবে বসানো, যাতে করে যিনি পোশাক বদলাচ্ছেন তার পেছন দেখা যায়। একই সঙ্গে আয়নায় তার প্রতিচ্ছবিও ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
বিজেপি নেতা লোবো বলেন, এটি খুব নিন্দনীয়। এভাবে একজন ব্যক্তির গোপনীয়তাকে নষ্ট করা হয়। ফ্যাবইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক উইলিয়াম বিসসেল জানান, শুধু নিরাপত্তার খাতিরেই প্রথা মেনে তাদের প্রতিটি দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়ে থাকে এবং এ পর্যন্ত ফ্যাব ইন্ডিয়ার কোনও কর্মীই বিষয়টি নিয়ে কোনও ‘অনভিপ্রেত আচরণ’ করেননি। ফ্যাব ইন্ডিয়ার এক কর্মী বলেন, ‘অনেকেই চারটি পোশাক নিয়ে ট্রায়াল রুমে ঢোকেন। বেরিয়ে আসেন তিনটি নিয়ে। একটি নিজেদের জামার ভিতর লুকিয়ে নিয়ে বেরিয়ে যান। গত সপ্তাহেও এমন এক রুশ পর্যটককে আমরা ধরেছি।’ তাঁর যুক্তি, কোনও পোশাক এমনভাবে গায়েব হয়ে গেলে তার দাম কর্মীদের বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয়। সে সব রুখতেই ক্যামেরাটি বসানো হয়েছিল।
Sign up here with your email