২০২৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি: মায়ানমারে জান্তা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাত তীব্রতর হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে উভয় পক্ষই তীব্র লড়াইয়ে লিপ্ত, যার ফলে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
নতুন মোড়:
- চীন সীমান্তে লড়াই: সম্প্রতি, বিদ্রোহীরা চীন-মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর মিয়ুজ দখল করে নেয়। জান্তার বাহিনী শহরটি পুনরুদ্ধারের জন্য তীব্র counter-offensive শুরু করেছে।
- আরাকান রাজ্যে সংঘাত: আরাকান রাজ্যে জান্তা ও আরাকান আর্মি (এএ)-এর মধ্যে লড়াই তীব্রতর হয়েছে। জান্তা বহু গ্রামে নির্বিচারে গোলাবর্ষণ করছে, যার ফলে বহু নিরপরাধ মানুষ নিহত হচ্ছে।
- বিদ্রোহী জোটের সমন্বয়: বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী জান্তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমন্বয় বৃদ্ধি করছে। সম্প্রতি, 'থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স' নামে নতুন জোট গঠিত হয়েছে।
- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জান্তার বিরুদ্ধে চাপ বৃদ্ধি করছে। জাতিসংঘ মায়ানমারে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে।
মানবিক সংকট:
- অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি: লড়াইয়ের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
- মানবাধিকার লঙ্ঘন: জান্তা বহু মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত।
- মানবিক সহায়তা: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে।
ভবিষ্যৎ:
- লড়াই দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা: বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মায়ানমারের যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে পারে।
- রাজনৈতিক সমাধানের প্রয়োজন: সংকটের সমাধানের জন্য রাজনৈতিক সমাধান অপরিহার্য।
Sign up here with your email