আউটসোর্সিং কি ও কেন ?

বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত টপিক হলো ফ্রীল্যান্সিং। ফ্রীল্যান্সিং নিয়ে নানান মানুষের নানান জল্পনা কল্পনা আছে। কেও আছে শুধু স্বপ্নই দেখে যায়, আহা কবে যে টাকা পাওয়া শুরু হবে কিন্তু আবার কেও আছে যারা স্বপ্ন কে বাস্তবে রূপ দেবার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে । বাংলাদেশ ফ্রীল্যান্সিং এর দিক দিয়ে আস্তে আস্তে সাম্নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অনেকে আবার ফ্রীল্যান্সিং কেই ফুল টাইম জব হিসেবে বেছে নিচ্ছে। কিন্তু সঠিক ধারনা না থাকার কারনে অনেকেই ঝরে পড়ছে। যখুনই আমরা অনলাইন এ ইঙ্কাম কথাটা শুনি আমাদের মনে সবার আগে যেটা কাজ করে তা হল ।
অনেক কঠিন কাজ, আমি কি পারব ।
আমাদের এই চিন্তাধারার কারনে আমরা সবক্ষেত্রে পিছিয়ে আছি যেহেতু
আউটসোর্সিং আমাদের দেশে নতুন এর সম্পরকে আমাদের শত ভাগ ধারনা নেই । তাই আমাদের মনের মদ্ধে নানা ধরনের জল্পনা কল্পনার সৃষ্টি হয়। আসলে আমাদের সঠিক ধারনার অভাব। তাই বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন সেমিনারের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে আউটসোর্সিং এর সাথে পরিচিত করে তোলা হচ্ছে।

আমার ব্যক্তিগত কথা হচ্ছে, এত সহজে আমরা যদি অনলাইনে হাজার হাজার ডলার/টাকা আয় করতে পারতাম তাহলে পৃথিবী কোটি কোটি মানুষ শুধুই টাকা আয়ের জন্য দিন রাত পরিশ্রম বন্ধ করে শুধুই ঘরে বসে কম্পিউটার আর অনলাইন সংযোগ নিয়ে যার যার ঘরে বসে আয় করার জন্য উঠে পরে লেগে যেত, আর ঘরে বসে হাজার হাজার ডলার আয় করত। কিন্তু বাস্তবে অনলাইনে আয়ের চিত্রটা একটু ভিন্ন। আসলে আপনার যদি অনলাইনে কাজের দক্ষতা থাকে তাহলে আউটসোর্সং কেন অন্য যেকোন সেক্টরে আপনি খুব সহজেই সফল হতে পারেন। আউটসোর্সিং এর ভিন্নমাত্রা হল, এখানে (আউটসোর্সিং) কাজ করা এবং অনলাইনে কাজ পাবার স্বাধীনতা আপনার আছে যা আপনি অন্য কোন পেশায় তা পাবেন না বললেই চলে। পার্থক্য হল আপনার পরিশ্রমের সঠিক মূল্যায়ন এখানে পাবেন এবং এখই সাথে উপযুক্ত পাওনা পাবেন, অন্যান্য পেশায় যার জন্য প্রতিনিয়ত কর্তাদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের মন কাষাকষি প্রতিনিয়ত লেগেই থাকে, যা আউটসোর্সিং করলে আপনি পাবেন না। এক কথায় আউটসোর্সিং হল উপযুক্ত কাজ করে এবং তা থেকে সহজ উপায়ে আয় করার একটি অন্যতম মাধ্যম। যেখানে আপনার সফল হতে হলে, অবশ্যই আপনাকে প্রথমেই দক্ষতা অর্জন করতেই হবে, এবং কাজ করার জন্য আপনাকে সঠিক মার্কেটপ্লেস আসতে হবে।



আউটসোর্সিং কাজগুলি কি ?

আউটসোর্সিং সাইট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আমরা বিভিন্ন ধরণের কাজ পেতে পারি। যেমন: সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও তথ্যব্যবস্থা, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, লেখা ও অনুবাদ, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, প্রশাসনিক সহায়তা, গ্রাহকসেবা (Customer Service), ব্যবসাসেবা, বিক্রয় ও বিপণন ইত্যাদি। এই প্রকার কাজ ইন্টারনেট ব্যাবস্থার মাধ্যমে করে দিতে পারলেই অনলাইনে আয় করা আপনার পক্ষে সম্ভব। এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের কাজের ব্যাবস্থা আছে এই বিশাল বড় আউটসোর্সিং জগতে। কিন্তু আমাদের দেশের কিছু অসাধু ব‌্যাবসায়ী বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়তই নানা পদ্ধতির মাধ্যমে আউটসোর্সিং করে খুব সহজেই আয় করার নামে মানুষকে ধোকা দিচ্ছে। বাস্তবে উপরে উল্লিখিত কাজগুলোতে যদি আপনার কোন কারিগরি কাজের দক্ষতা থাকে তবেই কেবলমাত্র আউটসোর্সিং জগতে থেকে আপনি ভালো আয় করতে পারবেন। কোনপ্রকার কাজের দক্ষতা ছাড়া এবং আউটসোর্সিং সম্পর্কে ভালকোন কিছু জানা না থাকলে ধোকা খাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তাই আগে কাজ করার জন্য নিজেকে তৈরী করুন, তারপর এই পেশায় আসার চিন্তা ভাবনা করুণ। সত্যি বলতে আপনি যদি আপনার কাজের দক্ষতাকে সঠিকভাবে কাছে লাগাতে পারেন তাহলেই আপনাকে দিয়েই সম্ভব এই সেক্টরে দেশের হয়ে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা। শুধু দরকার ইনকামের সঠিক দিক নির্দেশনা, এবং যে কাজ করবেন তার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা।

সঠিক ধারনা থাকলে আউটসোর্সিং হতে পারে আমাদের জন্য একটি ভাল কর্মসংস্থান তাই আসুন আমরা আউটসোর্সিং সম্পরকে ধারনা অর্জন করি । নিম্নে কিছু ই বুক এর লিঙ্ক দেয়া হল এই বই গুল থেকে আপনি সঠিক ধারনা পাবেন 
সবার জন্য রইল শুভ কামনা ।

এখান থেকে ডাউনলোড করুন 
Previous
Next Post »