বসন্তের ফুলের কুঁড়ি, গ্রীষ্মের ধুলোবালির ধোঁয়াশা আর পাতা ঝরা দিন এই
সবগুলোই কোন না কোন ভাবে অ্যালার্জি আক্রান্ত রোগীদের শরীরে অ্যালার্জি
সৃষ্টি করে। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে এই অ্যালার্জির সংক্রমণের প্রভাব
বিস্তার পায়।
অ্যালার্জির ফলে আক্রান্তের শরীরে সর্দি, কাশি কিংবা চুলকানি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফুসকুড়ির মতো তৈরি হয়। কিন্তু ডাক্তাররা বলেন অনেকভাবেই একজন ব্যক্তি অ্যালার্জির প্রকোপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারে। আজ আমরা পাঠকদের জন্য অ্যালার্জি থেকে প্রতিকার পাওয়া যাবে এমন কয়েকটি কারণ তুলে ধরবো।
১. নোনা পানির সমাধান,
নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিরোধে আপনি ব্যবহার করতে পারেন স্যালাইন বা লবণাক্ত পানি। এছাড়াও এটি আপনার নাকের জ্বালাপোড়া থেকেও আপনাকে রক্ষা করবে। ওষুধের দোকানে এই ধরনের স্যালাইন বা নোনা পানির ড্রপ পাওয়া যায়। এছাড়া আপনি বাসায় এই ধরনের স্যালাইন তৈরি করে নাকে প্রয়োগ করতে পারেন। বিশুদ্ধ পরিস্কার পানিতে এক চামচ লবণ এবং তার সাথে কিছু বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিয়ে প্রয়োগ করতে পারেন নাকে, যেনো নাকের বন্ধ হয়ে যাওয়া দূর হয়ে ভালোভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতে পারেন। কিন্তু যদি আপনার অ্যাজমার সমস্যা থেকে থাকে তবে এই প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
২. নিজেকে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখুন,
যদি আপনার বাইরের কাজ বেশি থাকে এবং আপনি আপনার একটি দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরের পরিবেশে কাটান তবে ঘরে ফিরেই নিজেকে ভালোভাবে পরিষ্কার করুণ। কেননা বাইরের ধুলোবালি অথবা ফুলের কুঁড়ি আপনার পোশাক কিংবা চুলে বেশি বাসা বাঁধে। এগুলো আপনার অ্যালার্জির প্রকোপ বাড়িয়ে দিবে। ঘরে ফিরেই উষ্ণ পানি দিয়ে নিজেকে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার শরীর থেকে অ্যালার্জির উপকরণকে দূর করবে। যদি আপনার চোখের পাতায় অ্যালার্জিজনিত কারণে চুলকানি হয় তবে উষ্ণ পরিষ্কার পানি দিয়ে নিয়মিত চোখ ধুয়ে ফেলুন এবং নিজেকে মুক্ত রাখুন অ্যালার্জি থেকে।
৩. বাইরের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকুন,
ঋতুর এই সময়টায় বাতাসে ভেসে বেড়ায় বিভিন্ন গাছের ফুলের কুঁড়ি আর পরিবেশের ধুলোবালি তো রয়েছেই। এই দুয়ে মিলে পরিবেশে সৃষ্টি হয় এক ধরনের ধোঁয়াশা পরিবেশ। এই ধরনের পরিবেশে আপনার সচেতনতাই আপনাকে অ্যালার্জিজনিত রোগ থেকে রক্ষা করবে। আপনার বেশিরভাগ সময়টাই যদি বাইরে অতিবাহিত করতে হয় তবে মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন। এতে করে পরিবেশের ছড়িয়ে থাকা জীবাণু আপনার শরীরকে আক্রান্ত করতে পারবে না। সিগারেটের ধোঁয়া অ্যালার্জির জীবাণুকে উদ্দীপ্ত করে। তাই আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন তবে তা বন্ধ রাখার চেষ্টা করুন। আর অধূমপায়ী হয়ে থাকলে ধূমপায়ীদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। চোখের অ্যালার্জি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে বাইরে বের হওয়ার সময় সানগ্লাস ব্যবহার করুন। পরিবেশের এই সময় চোখের বিভিন্ন প্রদাহজনিত রোগবালাই হয়ে থাকে যার বেশিরভাগই অ্যালার্জিজনিত রোগ। তার মধ্যে রয়েছে চোখউঠা রোগ। এই ধরনের কোন রোগে আক্রান্ত হলে অতিশীঘ্রই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৪. পুদিনা চা খেতে পারেন,
পুদিনা সাধারণত সর্দি, কাশির জন্য বেশ কার্যকর। এর ভেষজ গুণাবলি অ্যালার্জি প্রতিরোধে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। আর চা হলো বাংলাদেশের মানুষের প্রতিদিনের একটি নির্দিষ্ট পানীয়। অ্যালার্জি প্রতিরোধে আপনি প্রতিদিন চায়ের সাথে পুদিনা মিশিয়ে খেতে পারেন। পুদিনার রয়েছে একটি বিশেষ গন্ধ যা আপনার চায়ের একটি অনন্যতা আনয়ন করবে। সাধারণ চায়ের মতো করে তার মধ্যে পুদিনা পাতা ছেড়ে দিয়ে আপনি তৈরি করে নিতে পারেন পুদিনা চা।
৫. মেনথলের বাষ্প নিতে পারেন,
নাকবন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিরোধে একটি কার্যকর উপায় হলো মেনথল। বাজারে বিভিন্ন ওষুধের দোকানে পাওয়া যায় এই ধরনের মেনথল দানা। এগুলো এনে গরমপানিতে ছেড়ে দিন, তারপর এর বাষ্প নিন নিশ্বাসের সাথে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার বন্ধ হয়ে যাওয়া নাক দিয়ে আপনি ভালোভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারবেন। এছাড়াও সর্দির কারণে সৃষ্ট মাথা ব্যাথা দূর করতেও এর জুড়ি নেই।
অ্যালার্জিজনিত রোগবালাই থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সচেতনতা। কারণ এই সচেতনতা থেকে আপনি জানবেন এর প্রতিকার এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থা।
তথ্যসূত্রঃ হাউস্টাফওয়ার্কস
অ্যালার্জির ফলে আক্রান্তের শরীরে সর্দি, কাশি কিংবা চুলকানি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফুসকুড়ির মতো তৈরি হয়। কিন্তু ডাক্তাররা বলেন অনেকভাবেই একজন ব্যক্তি অ্যালার্জির প্রকোপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারে। আজ আমরা পাঠকদের জন্য অ্যালার্জি থেকে প্রতিকার পাওয়া যাবে এমন কয়েকটি কারণ তুলে ধরবো।
১. নোনা পানির সমাধান,
নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিরোধে আপনি ব্যবহার করতে পারেন স্যালাইন বা লবণাক্ত পানি। এছাড়াও এটি আপনার নাকের জ্বালাপোড়া থেকেও আপনাকে রক্ষা করবে। ওষুধের দোকানে এই ধরনের স্যালাইন বা নোনা পানির ড্রপ পাওয়া যায়। এছাড়া আপনি বাসায় এই ধরনের স্যালাইন তৈরি করে নাকে প্রয়োগ করতে পারেন। বিশুদ্ধ পরিস্কার পানিতে এক চামচ লবণ এবং তার সাথে কিছু বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিয়ে প্রয়োগ করতে পারেন নাকে, যেনো নাকের বন্ধ হয়ে যাওয়া দূর হয়ে ভালোভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতে পারেন। কিন্তু যদি আপনার অ্যাজমার সমস্যা থেকে থাকে তবে এই প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
২. নিজেকে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখুন,
যদি আপনার বাইরের কাজ বেশি থাকে এবং আপনি আপনার একটি দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরের পরিবেশে কাটান তবে ঘরে ফিরেই নিজেকে ভালোভাবে পরিষ্কার করুণ। কেননা বাইরের ধুলোবালি অথবা ফুলের কুঁড়ি আপনার পোশাক কিংবা চুলে বেশি বাসা বাঁধে। এগুলো আপনার অ্যালার্জির প্রকোপ বাড়িয়ে দিবে। ঘরে ফিরেই উষ্ণ পানি দিয়ে নিজেকে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার শরীর থেকে অ্যালার্জির উপকরণকে দূর করবে। যদি আপনার চোখের পাতায় অ্যালার্জিজনিত কারণে চুলকানি হয় তবে উষ্ণ পরিষ্কার পানি দিয়ে নিয়মিত চোখ ধুয়ে ফেলুন এবং নিজেকে মুক্ত রাখুন অ্যালার্জি থেকে।
৩. বাইরের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকুন,
ঋতুর এই সময়টায় বাতাসে ভেসে বেড়ায় বিভিন্ন গাছের ফুলের কুঁড়ি আর পরিবেশের ধুলোবালি তো রয়েছেই। এই দুয়ে মিলে পরিবেশে সৃষ্টি হয় এক ধরনের ধোঁয়াশা পরিবেশ। এই ধরনের পরিবেশে আপনার সচেতনতাই আপনাকে অ্যালার্জিজনিত রোগ থেকে রক্ষা করবে। আপনার বেশিরভাগ সময়টাই যদি বাইরে অতিবাহিত করতে হয় তবে মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন। এতে করে পরিবেশের ছড়িয়ে থাকা জীবাণু আপনার শরীরকে আক্রান্ত করতে পারবে না। সিগারেটের ধোঁয়া অ্যালার্জির জীবাণুকে উদ্দীপ্ত করে। তাই আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন তবে তা বন্ধ রাখার চেষ্টা করুন। আর অধূমপায়ী হয়ে থাকলে ধূমপায়ীদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। চোখের অ্যালার্জি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে বাইরে বের হওয়ার সময় সানগ্লাস ব্যবহার করুন। পরিবেশের এই সময় চোখের বিভিন্ন প্রদাহজনিত রোগবালাই হয়ে থাকে যার বেশিরভাগই অ্যালার্জিজনিত রোগ। তার মধ্যে রয়েছে চোখউঠা রোগ। এই ধরনের কোন রোগে আক্রান্ত হলে অতিশীঘ্রই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৪. পুদিনা চা খেতে পারেন,
পুদিনা সাধারণত সর্দি, কাশির জন্য বেশ কার্যকর। এর ভেষজ গুণাবলি অ্যালার্জি প্রতিরোধে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। আর চা হলো বাংলাদেশের মানুষের প্রতিদিনের একটি নির্দিষ্ট পানীয়। অ্যালার্জি প্রতিরোধে আপনি প্রতিদিন চায়ের সাথে পুদিনা মিশিয়ে খেতে পারেন। পুদিনার রয়েছে একটি বিশেষ গন্ধ যা আপনার চায়ের একটি অনন্যতা আনয়ন করবে। সাধারণ চায়ের মতো করে তার মধ্যে পুদিনা পাতা ছেড়ে দিয়ে আপনি তৈরি করে নিতে পারেন পুদিনা চা।
৫. মেনথলের বাষ্প নিতে পারেন,
নাকবন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিরোধে একটি কার্যকর উপায় হলো মেনথল। বাজারে বিভিন্ন ওষুধের দোকানে পাওয়া যায় এই ধরনের মেনথল দানা। এগুলো এনে গরমপানিতে ছেড়ে দিন, তারপর এর বাষ্প নিন নিশ্বাসের সাথে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার বন্ধ হয়ে যাওয়া নাক দিয়ে আপনি ভালোভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারবেন। এছাড়াও সর্দির কারণে সৃষ্ট মাথা ব্যাথা দূর করতেও এর জুড়ি নেই।
অ্যালার্জিজনিত রোগবালাই থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সচেতনতা। কারণ এই সচেতনতা থেকে আপনি জানবেন এর প্রতিকার এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থা।
তথ্যসূত্রঃ হাউস্টাফওয়ার্কস
Sign up here with your email